রংপুর জোনে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০টি সেতু ভাঙা হবে

রংপুর জোনে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০টি সেতু ভাঙা হবে

রংপুর সড়ক জোনের আওতায় ৮টি সড়ক বিভাগে মোট ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ২৬টি বিদ্যমান বেইলি সেতু ও ২৪টি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসহ ১৬টি কালভার্ট প্রতিস্থাপন করা হবে। সেতুগুলো নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের টেকসই ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এজন্য ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’ শীর্ষক প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১০ আগস্ট একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জানায়, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, বগুড়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় সেতুগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ২৬.৫৬১ হেক্টর জমি এবং জমির উপরিস্থিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ, ১২.৩১ লাখ ঘনমিটার সেতু এ্যাপ্রোচে মাটির কাজ, ১১.২২ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ (সার্ফেসিংসহ), ২ হাজার ৭৫৯ মিটার বা ৫০টি পিসি গার্ডার/আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, ১৪৫ মিটার বা ১৬টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ১ লাখ ৫ হাজার ৪৮৩ বর্গমিটার কংক্রিট স্লোপ প্রটেকশন, ১ লাখ ২১ হাজার ৪৬২ বর্গমিটার কংক্রিট সিসি ব্লক, ১৬ হাজার ৮৪০ মিটার টো-ওয়াল নির্মাণ, ২৩ হাজার ৯৫৬ মিটার সসার ড্রেন নির্মাণ (ক্রসড্রেন ও আরসিসি পিটসহ)।

পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম হলো- ৩৭ হাজার ৫০০ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করা। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ২ হাজার ৭৫৯ মিটার সেতু ও ১৪৫ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। যা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উপর্যুক্ত লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে রংপুর সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কগুলোর বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু/বেইলি সেতু রয়েছে। এ প্রকল্পটির স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণের মাধ্যমে উন্নত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে, যা এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন